পুজো আসছে – শুনলেই মনটা কেমন আনন্দে ভরে যায়। ছুটির দিনগুলো সারাদিন খাওয়াদাওয়া, আড্ডা, ঠাকুর দেখার মধ্যে দিয়ে যে কোথায় বেরিয়ে যায় সে ভাবাই যায়না। আর এহেন সময়ে কেই বা চাইবে শরীর খারাপ হয়ে, বা ফুড পয়সনিং হয়ে অসুস্থ হতে। এই জন্যেই, পুজোর আগে বাড়িঘর ভালো করে পরিষ্কার করে লাল হিট দিয়ে আরশোলা তাড়ানো দরকার।
লাল হিটের লম্বা “ডিপ রিচ নজল” খুব সহজে বাড়ির আনাচ কানাচে লুকিয়ে থাকা আরশোলা বের করে এনে তাদের মারে। প্রতি মাসে লাল হিট দিয়ে বাড়ি পরিষ্কার করে রাখলে আরশোলা পালাতে পথ পাবেনা আর লাল হিটের তাজা সুগন্ধ একদম আলাদা অন্য কীটনাশকের থেকে।
পুজোর মধ্যে ঝটপট তৈরী হবে কিন্তু সুস্বাদু এইসব রান্না বড় কাজে আসে। যেমন চিকেন পোলাও। বেশিকিছু যায়না, কিন্তু খেতে বেশ ভালো। আর পুজোর মধ্যে হাজার জিনিস রান্না করে তারপর বাইরে ঘুরতে যাওয়াও একটু দায় তাই ঝটপট রান্না হলে খাটনিও কমে যায়। যত কম বাসনকোসন তত কম ঝামেলা। এই মুরগির পোলাওএর রেসিপি আমি আয়েশা সিদ্দিকার ভিডিও দেখে বানিয়েছি, যদিও একটু আধটু বদলেছি কোথাও কোথাও।
চিকেন পোলাও রেসিপি
১ কিলো মুরগির মাংস বড় বড় টুকরো করে কেটে রাখতে হবে। এই রেসিপিতে আমি ছাড়তে মুরগির গোটা পা ব্যবহার করেছি, কিন্তু গোটা মুরগি চারটুকরো করে কাটাও চলবে। ভালোকরে মাংস ধুয়ে তাতে স্বাদমতো নুন, ১০০ গ্রাম মিষ্টি দই আর এক চামচ পাতিলেবুর রস মাখিয়ে ঘন্টা দুই রেখে দিতে হবে। একটা কড়াইতে ৪ টেবিলচামচ সাদা তেল গরম করে তাতে গোটা গরম মশলা ফোড়ন দিতে হবে (৪ তে ছোট এলাচ, দু টুকরো দারচিনি, ৫-৬টা লবঙ্গ) আর দুটো তেজপাতা। একটু ভেজেই তাতে ৪ টেবিলচামচ পেঁয়াজবাটা, ১ টেবিলচামচ আদারসুনবাটা দিয়ে নেড়ে নিন। পেঁয়াজবাটায় একটু রং ধরলে তাতে ৫টা কাঁচালঙ্কা কুচি করে দিয়ে নেড়েচেড়ে মাংস ছাড়তে হবে। মাংস দিয়ে আঁচ বাড়িয়ে মিনিট পনেরো কষে নিয়ে তাতে এক কাপ জল দিয়ে দিতে হবে। জল ফুটলে ঢাকা দিয়ে মাংস মিনিট কুড়ি মত রেখে দিতে হবে যতক্ষণ না মাংস প্রায় সেদ্ধ হয়ে আসে।
৫০০ গ্রাম বাসমতি চাল ধুয়ে জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে আধ ঘন্টা। তারপর একটা হাঁড়িতে ২ টেবিলচামচ সাদা তেল গরম করে তাতে একটু গোটা গরমমসলা ফোড়ন দিতে হবে (২টো এলাচ, ১ টুকরো দারচিনি, ৪টি লবঙ্গ), তার সাথে দুটো তেজপাতা আর একটুকরো জয়িত্রী। সুন্দর গন্ধ বেরোলে ২৫০ মিলি দুধ দিতে হবে। একটু নেড়েচেড়ে দুধ ফুটে গেলেই ওর মধ্যে ধুয়ে রাখা চাল আর ৭৫০ মিলি জল দিতে হবে। জল ফুটে গেলে ঢাকা দিয়ে চাল আধসেদ্ধ হওয়া অবধি রান্না করতে হবে। তারপর রান্না মুরগির মাংস, স্বাদমতো নুন, ২ টেবিলচামচ ঘি, আর ১০-১১ টা গোটা কাঁচালঙ্কা দিয়ে তখনি ঢাকা দিয়ে আঁচ কমিয়ে ২০ মিনিট মতো রান্না করতে হবে। এই সময় চারপাঁচটা ডিম সেদ্ধ করে মিশিয়ে দেওয়া যায়। তারপর আঁচ থেকে নামিয়ে আরো ১৫ মিনিট রেখে দিতে হবে পরিবেশন করার আগে।
এই রেসিপিতে অনেকে মুরগির সাথে সাথে কিশমিশ-ও দেয়। আমার কিশমিশ ভালো লাগেনা তাই আমি এখানে দিইনি। অনেকে কেওড়া জল-ও দেয় কিন্তু আমার কাঁচালংকার গন্ধটা খুব ভালো লাগে বলে আমি কেওড়া জল দিইনা। মুরগির পোলাও গরম গরম একটু স্যালাডের সাথে খেতে ভালো লাগে। অনেকে আবার এর সাথে মাংসর ভুনা খায়, যার রেসিপি এই ব্লগ-এর রেসিপি সেক্শনে আছে। তাই চলুন এই পুজোয় লাল হিট ব্যবহার করি। দুর্গতিনাশিনীর আগমনি ঘরদোর পরিচ্ছন্ন রেখে করলে বাড়িও নিরাপদ, আপনিও নিশ্চিন্তে পুজোর আনন্দে মেতে উঠবেন।
Disclaimer: Sponsored post. For more, follow the hashtag #SayNoToFoodPoisoning
Share this:
- Click to share on Twitter (Opens in new window)
- Click to share on WhatsApp (Opens in new window)
- Click to share on Facebook (Opens in new window)
- Click to share on Reddit (Opens in new window)
- Click to share on Tumblr (Opens in new window)
- Click to share on Pinterest (Opens in new window)
- Click to share on Telegram (Opens in new window)
- Click to email this to a friend (Opens in new window)
- Click to share on LinkedIn (Opens in new window)
- Click to share on Pocket (Opens in new window)
- Click to print (Opens in new window)
2 Responses
Hmm yummy! Baniye dekhte hobe.
Please banio, aar amake janio kemon hoyechhilo.